মতিন রহমান,বকশীগঞ্জ (জামালপুর)প্রতিনিধি।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সরকারের ভিডব্লিউবি (VWB) এবং ভিজিডি (VGD) প্রকল্পের সুবিধাভোগী নির্বাচনে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে উন্মুক্ত লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে আয়োজিত এই প্রক্রিয়ায় প্রকৃত দুস্থ নারীদের প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়।
দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ভিডব্লিউবি এবং ভিজিডি প্রকল্পের সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রথম ধাপের লটারি সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর, ধানুয়া কামালপুর এবং বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদে এই উন্মুক্ত লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা এই লটারি কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন। তাঁর উপস্থিতিতে এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জান্নাতুন নাহার ও স্ব স্ব ইউনিয়নের মেম্বারদের উপস্থিতিতে পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, “আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, এই প্রকল্পের সুবিধাগুলো প্রকৃতপক্ষে যাদের প্রয়োজন, তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমরা দেখেছি, অনেক সময় সুবিধাভোগী নির্বাচনে নানা প্রশ্ন ওঠে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এবং শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আমরা সম্পূর্ণ লটারি পদ্ধতির মাধ্যমে সুবিধাভোগী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে কোনো রকম প্রভাব বা সুপারিশের সুযোগ নেই।”
বাট্টাজোর ইউনিয়ন পরিষদ: ৯২৭ জন আবেদনকারীর মধ্যে লটারির মাধ্যমে ৩৯৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও, ৫০ জন অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন।
ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন: ৫৫৮ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৩০৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন এবং ৪০ জন অপেক্ষমাণ তালিকায় আছেন।
বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ: এখানে ৪৫৭ জন আবেদন করেছিলেন, যার মধ্যে লটারির মাধ্যমে ২১৫ জন নির্বাচিত হয়েছেন। ৩০ জন এই ইউনিয়নের অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন।
বকশীগঞ্জের অন্যান্য ইউনিয়নেও পর্যায়ক্রমে এই লটারি অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১১ জুলাই, শুক্রবার, বিকেল ৩টায় বগারচর ইউনিয়ন পরিষদে লটারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর ১২ জুলাই, শনিবার, দুপুর ২টায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এবং বিকাল ৪:৩০টায় নিলাখিয়া ইউনিয়ন পরিষদে লটারি হবে। সর্বশেষ ১৩ জুলাই, রবিবার, দুপুর ২টায় মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদে উন্মুক্ত লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
এই লটারি পদ্ধতির মাধ্যমে বকশীগঞ্জের হাজারো দুস্থ নারী ও তাদের পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।